যাদব চন্দ্র রায়,নির্বাহী পরিচালক,সিডিসি ও সভাপতি ,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব,দিনাজপুর জেলা শাখা: শিশুর জন্মের পর ১২ মাস বয়সের মধ্যে আধো আধো শব্দ না বলা কিংবা পছন্দের বস্তুর দিকে ইশারা না করা। ১৬ মাসের মধ্যে কোনো একটি শব্দ বলতে না পারা। শিশুর বয়স বেড়ে যখন ২৪ মাস, তখনো দুই বা ততোধিক শব্দ দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারা কিংবা ভাষার ব্যবহার রপ্ত করতে পারার পর, আবার ভুলে যাওয়া। এমন শিশুদের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যায় যে, বয়সোপযোগী সামাজিক আচরণ করতে পারছে না, নাম ধরে ডাকলে সাড়া দিচ্ছে না, সামাজিক সম্পর্ক তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে, পছন্দের বা আনন্দের বস্তু বা বিষয় অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারছে না, অন্যের বলা কথা বারবার বলা বা বারবার একই আচরণ করছে। আবার শব্দ, আলো, স্পর্শ ইত্যাদি বিষয়ে কম বা বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, একটি নিজস্ব রুটিন মেনে চলতে পছন্দ করছে, নিজেকে আঘাত করার প্রবণতাও দেখা যায়। এ ছাড়া অটিজমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এমন শিশুর মধ্যে খিঁচুনি, অতিচঞ্চলতা, বুদ্ধির স্বল্পতা, উদ্বিগ্নতা, বিষন্নতা, আচরণজনিত সমস্যা, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি থাকতে পারে। কীভাবে হতে পারে চিকিৎসা- শিশুর অস্বাভাবিক আচরণ পরিবর্তনের জন্য শিশুর মা-বাবাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন, যাতে তাঁরা বাড়িতে শিশুর আচরণের পরিবর্তন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। স্কুলে ও বাড়িতে শিশুকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়া ও শিশুকে সামাজিক রীতিনীতি শেখানোর চেষ্টা করতে হবে। যে কাজটি সে ভালো পারে বা যে বিষয়টিতে তার উৎসাহ আছে, সে বিষয়টির দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হয়। শিশুর ভাষাশিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে প্রয়োজনে রোগলক্ষণ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি ঔষধ ও থেরাপি (অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ ও ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি) প্রয়োজন হতে পারে, তবে তা অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। যা দেখে বোঝা যায় শিশুটি এ ডি এইচ ডি (ADHD) বা অতিচঞ্চলতা- কোনো বিষয়ের প্রতি বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা। সারাক্ষণ ছোটাছুটি করা, চিন্তাভাবনা না করে হঠাৎ কিছু করে ফেলা। স্থির হয়ে বসে থাকতে না পারা। বই-কলম প্রায়ই হারিয়ে ফেলা। লাফিয়ে উঁচুতে উঠে যাওয়া। প্রশ্ন শোনার আগে জবাব দেওয়া। পড়ালেখা এমনকি খেলাধুলায় মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা। বড়দের কাজে বা কথার মধ্যে বাধা দেওয়া। একসঙ্গে অনেক কিছু করার চেষ্টা করা, তবে কোনোটাই শেষ করতে না পারা। অতিচঞ্চলতার এই লক্ষণগুলো যদি সাত বছরের কম বয়সী শিশুর মধ্যে কমপক্ষে ছয় মাস ধরে দেখা যায় এবং এ কারণে যদি তার পড়ালেখা বাধাগ্রস্ত হতে থাকে, তখন সেটিকে এডিএইচডি বলা হয়। চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবেন.? সঠিক টেস্ট, চিকিৎসা, থেরাপি এবং কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে শিশুদের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ জীবন আচরণ স্বাভাবিক গন্ডির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব। বর্তমানে দেশের অনেক শিশুই অটিস্টিক হওয়া সত্তেও সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনের সাথে মানিয়ে চলতে সক্ষম হচ্ছে। এই জন্য আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে হোমিওপ্যাথি। কারন হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিউরনের কাজের ক্ষমতা বাড়ায়। আপনার শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন।
সর্ব শেষ:
অটিজম- চিকিৎসায় ভাল হয়:
-
প্রতিবেদক এর নাম
- প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
- ১৩৯ বার পড়া হয়েছে
খবর টি শেয়ার করুন :
সর্বাধিক পঠিত